শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
নুনগোলায় আবারও চেতনা নাশক স্প্রে দ
স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা ।
সাতক্ষীরার সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামে বসত বাড়ির ছাদে উঠে সিঁড়ির ঘরের গ্রিল ভেঙে কে বা কারা চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে অচেতন করে সাড়ে সতেরো ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মূল্যবান কাগজপত্র চুরির করে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৩ জুন ) দিবাগত রাতে নুনগোলা গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে তোফার ছেলে আবুল হাসানের বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
আবুল হাসান ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং ব্রহ্মরাজপুর বাজারের বিশিষ্ট ফার্মেসি ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, চোরেরা সিঁড়ির ঘরের গ্রিলের তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আলমারিতে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা সাড়ে ১৭ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ,দলিল, চেকের পাতা চুরি করে নিয়ে যায়।
গৃহকর্তা আবুল হাসানের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান- ফজরের নামাজ পড়ার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের ভিতরে সবকিছু তছনছ করা।
চোরেরা আলমারি ও শোকেজের তালা ভেঙে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর চুরির আতঙ্কে ভুগছে। এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে গৃহকর্তা আবুল হাসান ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তাদের অবস্থা আশংঙ্কামুক্ত হলেও জ্ঞান ফিরতে কিছুটা দেরি হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী আবুল হাসানের বড় ভাই আব্দুস সালাম জানান- আমার ভাই আবুল হাসান ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন সকালে বেশ সুস্থ থাকলেও পরে তারা পুনরায় অচেতন হয়ে পড়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি শিল্লুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এলাকায় ওই চক্রটি গত কয়েক বছর ধরে প্রতি ২/৩ মাস পরপর একইভাবে বিভিন্ন বাড়িতে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে বাড়ির সবাই কে অচেতন করে চুরি করে আসলেও তারা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এঘটনায় ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ী এলাকায় চুরির আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে পুলিশ টহল জোরদার করার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।